বন‍্যা কবলিত খানাকুলে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন পুলিশ আধিকারিকরা

27th August 2020 7:49 pm হুগলী
বন‍্যা কবলিত খানাকুলে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন পুলিশ আধিকারিকরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( খানাকুল ) : গত কাল এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন জেলাশাসক। ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে এবং নিজে ঘুরে দেখেছেন বন্য পরিস্থিতি।সব রখম সাহায্যের কথা তিনি বলেছেন। পৌরসভা ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হবে বলেও তিনি জানান। বৃহস্পতিবার সকালে খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি কেমন আছে। এলাকার মানুষের কি কি সমস্য আছে কেমন আছেন তাঁরা। এই নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এক ঝটিকা সফরে এলেন হুগলী জেলা গ্রামীন পুলিশ সুপার তথাগত বসু।  তার সাথে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আরামবাগের এস ডিপিও সহ একাধিক আধিকারিক। তারা হাজির হন গড়ের ঘাট এলাকায় ।সেখান থেকে এলাকা ঘুরেও দেখেন পাশাপাশি জলমগ্ন গ্রাম গুলিতে ত্রান সামগ্রী পাঠান নৌকা করে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী দেওয়া হয় জলমগ্ন মানুষ জনদের হাতে। কিছুটা সুরাহা হলেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি হওয়া এলাকার মানুষ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।